গত ৩-৪ দিন যাবত জামালপুর জেলা প্রশাসকের অশ্লীল ভিডিও’তে ভাসলেও এসব ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা এবং প্রণোগ্রাফি আইনের প্রয়োগ না করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং ফেসবুক ও গুগলকে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে প্রায় ৯ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক হলেও পাড়া মহল্লার কম্পিউটারের দোকান মেরোরি কার্ডে লোড করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা এমনকি বৃদ্ধ-বনিতাও ডিসির এই অপকর্মের ভিডিও দেখছেন। কাজের ফাঁকে বড় আলোচনার বিষয় এখন জামালপুরের ডিসি।
তিনি বলেন, সরকার দেশে ২২ হাজার পর্ন সাইট সরকার বন্ধ করলেও এই ভিডিও গত ৩-৪ দিনেও সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বন্ধ করার কোন উদ্যোগ নেয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই সকল নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা কেন রাখছে না তা অবশ্যই প্রশ্ন রাখে।
মহিউদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, আমাদের দেশে পর্নগ্রাফি আইন ২০১২ রয়েছে। যার মাধ্যমে এই কাজে লিপ্ত ব্যক্তির ৭ বছরের জেল ও ২ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান আছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তে ১ কোটি টাকা জরিমানা ও ১৪ বছরের জেলের বিধান থাকলেও জেলা প্রশাসক ও তার সহকর্মীকে এ আইনের আওতায় কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা জাতি জানতে চায়। সেই সাথে এই অশ্লীল ছবি যারা প্রসার ও প্রচার ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে একই শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিটিআরসি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছে যে, দেশের তিনটি অপারেটর ফেসবুক এবং গুগলে ৩ বছরে দিয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দৈনিক প্রায় ১০ কোটি টাকার মত ব্যয় করছে অপারেটরা। এত টাকা ব্যয় করা সত্ত্বেও গুগল এবং ফেসবুকের সাথে আমাদের কেন এ ধরনের চুক্তি করা হচ্ছে না। সরকারের অনেক উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চারিত্রিক দিক নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তাই সরকারকে দ্রুত এ বিষয়গুলি দেখভাল করার আহ্বান জানাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে।