নতুন পণ্য ও সেবা বাজারে এনেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। তাদের নতুন পণ্য ও সেবার মধ্যে রয়েছে অ্যাপল ওয়াচ, আইপ্যাড, আইপ্যাড এয়ার, নতুন ভার্চুয়াল ফিটনেস সেবা ও এক প্ল্যাটফর্মে সব সাবস্ক্রিপশন।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন পণ্য ও সেবাগুলো উন্মোচন করেছে জনপ্রিয় এ প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬
অ্যাপল ওয়াচ
নতুন অ্যাপল ওয়াচ এসই আনার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল। অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাবে এ পণ্যটি। এসব সিরিজের ওয়াচের দাম হবে ৩০-৩৪ হাজারের ঘরে। সাশ্রয়ী এই ওয়াচে বিল্ট-ইন অ্যাক্সেলেরোমিটার, জিরোস্কোপ ও ফল ডিটেকশন সুবিধা থাকবে। এটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭৯ ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ২৩ হাজার ৬৪৩ টাকা।)
আইপ্যাড এয়ার
অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড এয়ারে সিঙ্গেল ক্যামেরা ছাড়াও ১০ দশমিক ৯ ইঞ্চির লিকুইড রেটিনা ডিসপ্লে রয়েছে। এর হোম বাটনে যুক্ত হয়েছে টাচ আইডি ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর। অ্যাপল বলছে, এই আইপ্যাডের সিপিইউর কর্মক্ষমতা আগের ভার্সনের থেকে ৪০ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয়, এতে দ্রুত চার্জিংয়ের জন্য ইউএসবি-সি টাইপ পোর্টও যুক্ত করা হয়েছে।
জেনারেশন-২ অ্যাপল পেন্সিল দিয়ে কাজ করা যাবে এই আইপ্যাড এয়ারে। শুধুমাত্র ওয়াইফাইয়ের সুবিধা যুক্ত আইপ্যাড এয়ারের দাম ধরা হয়েছে ৫৯৯ ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৫০ হাজার ৭৬১ টাকা)। দেখতে অনেকটা আইপ্যাড প্রো’র মতোই।
সাশ্রয়ী দামেরও ৮ম প্রজন্মের আইপ্যাড উন্মোচন করেছে অ্যাপল। ৩২ জিবি ও ১২৮ জিবি কনফিগারেশনে দু’টি মডেলে আনা হয়েছে এই আইপ্যাড। নতুন এই গ্যাজেটে ব্যবহার করা যাবে জেনারেশন-১ অ্যাপল পেন্সিল। পাঁচ ন্যানোমিটার চিপ নির্মাণ কৌশল প্রথমবারের মতো এতে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।
অ্যাপল ওয়ান
মহামারী করোনা ভাইরাস বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকে ঘরবন্দি হতে বাধ্য করেছে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাপলপ্রেমীদের ফিটনেসের ব্যাপারে সচেতন করতে নতুন ফিটনেস প্লাস সেবা এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের শেষের দিকে ফিটনেস সেবাটি চালু হবে। ফিটনেস সেবার মাধ্যমে যেসব ব্যায়াম দেয়া হবে সেখানে বেশিরভাগের জন্যই কোনও উপকরণের দরকার হবে না। কিছু কিছু ব্যায়ামের ক্ষেত্রে হালকা উপকরণ প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়া অ্যাপল মিউজিক, অ্যাপল টিভি+, অ্যাপল নিউজ+, আইক্লাউডের মতো একাধিক সেবা অ্যাপলের গ্রাহকরা পান। এবার এসব সেবা একত্রিত করে গ্রাহকের সামনে হাজির করবে অ্যাপল ওয়ান।
সেখান থেকে গ্রাহকরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনও সেবা বেছে নিতে পারবেন। নির্দিষ্ট কিছু দেশের গ্রাহক এসব সুবিধা পাবেন। পরবর্তীতে অন্যান্য দেশেও সুবিধাগুলো উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। এসব সেবার জন্য নির্ধারিত অর্থও গুণতে হবে গ্রাহককে।