‘Aadhaar’ বা ‘KYC’ শব্দদুটির সাথে পরিচিত নন, এমন ভারতীয় খুব কমই আছেন। ব্যাংক বা অন্যান্য পরিষেবা পেতে অনেক সময়েই গ্রাহকের Aadhaar বা KYC ডিটেইলস প্রয়োজন হয়। কিন্তু, বছর দুয়েক আগে সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়েছিল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা ফোনের সিম কার্ডের কানেকশনের ক্ষেত্রে আধার-এর তথ্য বাধ্যতামূলক নয়। উপযুক্ত আইনি কাঠামো না থাকায় টেলিকম অপারেটর বা অন্য বেসরকারি সংস্থাগুলি, KYC তথ্য নথিভুক্ত করার জন্য ইউজারদের আধার নম্বর বা তথ্য ব্যবহার করতে পারবেনা।
যদিও বছর ঘুরতে না ঘুরতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আদালত আধার সংশোধনী বিল পাশ করে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে, সুপ্রীম কোর্ট অনুমতি দেয় যে, আইডেন্টিটি প্রুফ হিসেবে আধার নম্বর ইচ্ছেমত ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা বা নতুন মোবাইল কানেকশন নেওয়া যাবে।
এরপরই কয়েকদিন আগে এই আধার বা কেওয়াইসি সংক্রান্ত নতুন একটি নিয়ম চালু করেছে দেশের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ অর্থাৎ DoT। জানা গিয়েছে, এবার থেকে গ্রাহকরা ইলেকট্রনিক নো ইউ কাস্টমার (e-KYC) ভেরিফিকেশনের জন্য নিজের আধার নম্বর বা ভার্চুয়াল আধার আইডি ব্যবহার করতে পারবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতমাসের শেষে দেশের বিভিন্ন টেলিকম অপারেটরদের একটি চিঠি দিয়েছে DoT, ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রাহকরা পরিচয়পত্রের বিকল্প হিসেবে আধার নম্বর বা ভার্চুয়াল আধার আইডি ব্যবহার করে নতুন মোবাইল কানেকশন নিতে পারবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ই-কেওয়াইসি প্রসেস সম্পন্ন করতে টেলিকম অপারেটররা, গ্রাহকের আধার নম্বর বা ভার্চুয়াল আইডি এবং বায়োমেট্রিক ডেটা ব্যবহার করবে। এর জন্য টেলিকম সংস্থাগুলির, UIDAI অর্থাৎ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া-র অনুমতির প্রয়োজন হবে। নিশ্চিত করা হয়েছে, সংস্থাগুলি কোনোভাবেই গ্রাহকের আইডি বা মূল বায়োমেট্রিক ডেটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেনা।
এই ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়াটি, টেলিকম সংস্থাগুলির বিশেষ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। তবে ওই অ্যাপটি কেবল টেলিকম সংস্থার বিশেষ লগইন শংসাপত্রের সাহায্যে অ্যাক্সেস করা যাবে।