বাংলাদেশ সরকারের কোনো অনুরোধই রাখেনি ইন্টারনেটে ভিডিও প্রচার বা প্রকাশের চীনা অ্যাপ টিকটক। মঙ্গলবার প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
ইংরেজি অক্ষর ক্রম অনুযায়ী সাজানো তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা বাংলাদেশ বিষয়ক পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে টিকটকের কাছে দুটি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ অনুরোধে সাড়া দেয়নি টিকটক কর্তৃপক্ষ। তারা কোনো তথ্যও দেয়নি।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, দেশের নীতি ও অনুশাসন মেনে চলার জন্যই টিকটককে খুলে দেয়া হয়েছিলো। তারা যদি আমাদের কথা না শোনে বা দেশের জন্য অকল্যাণকর বিষয়ে নিয়োজিত থাকে তবে তাদের বন্ধ করে দেয়া হবে। তারা এখনো আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।
বাইটড্যান্স এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই সময়ে মোট ৪২টি দেশ টিকটকের কাছে তথ্য চেয়ে অনুরোধ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বে ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১৯টি ভিডিও সরিয়ে ফেলে টিকটক। নীতিমালা লঙ্ঘন ও কমিউনিটি নীতিমালা না মানায় এসব ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সংখ্যা টিকটকে বছরের প্রথম ছয় মাসে আপলোড হওয়া ভিডিওর এক শতাংশেরও কম।
টিকটক জানিয়েছে, তারা সবচেয়ে বেশি ভিডিও সরিয়েছে ভারতীয়দের। বছরের প্রথমার্ধে তিন কোটি ৭০ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়েছে তারা। তবে যেসব ভিডিও সরিয়েছে তার ৯৬.৪৬ শতাংশ ভিডিও কোনো অভিযোগ পাওয়ার আগেই সরানো হয়। এর মধ্যে ৯০.৩২ শতাংশ ভিডিও কেউ দেখেনি।