ঠাণ্ডা এখন আর আগের মতো অনুভূত হচ্ছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গায়ের গরম পোশাকগুলো হয়ে উঠছে অস্বস্তির কারণ। এমন আবেশেই এলো ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসা ও বসন্ত বন্দনা। প্রযুক্তির কল্যাণে এর ব্যাপকতা তাই বেড়েছে ঢের। বিতর্ক উঠেছে প্রগাঢ়তা নিয়ে। ভালোবাসা এখন প্রেমীদের বুক পকেটে। থরে থরে সাজানো মুঠোফোনে। নানা অ্যাপে।
তাজা ফুল বাড়িয়ে দেয়া, রুমাল বা চিঠি চালা-চালি, অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। খুদে বার্তার প্রতিউত্তরের জন্যও এখন আর অপেক্ষা করতে হয় না। দিন-ক্ষণ এলেই ‘ম্যাসেঞ্জার’ প্লাবিত হয়। ডিজিটাল এই সময়ে ইন্টারনেট ও নানা ধরনের মোবাইল অ্যাপের ব্যবহার যেন বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে ‘ভালোবাসার দুনিয়ায়’। ভালোবাসা বিনিময়ের অনন্ত প্রতীক্ষা এখন অ্যানালগ ফোনের মতো সেকেলে হয়েছে। মাধ্যমও বেড়েছে। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো, ইনস্টাগ্রামের মতো অ্যাপে ভালোবাসা বিনিময়ে ব্যস্ত থাকেন প্রেমীরা।
প্রেমীরা এখন তাৎক্ষণিক (ইনস্ট্যান্ট) ফিডব্যাকে অভ্যস্ত। ভাষার জাদুতে নয়, ইমোজির সম্মোহনীতে অভিব্যক্তি প্রকাশে দুর্বার। সঙ্গত কারণে এসএমএস, আইভিআর কিংবা নেট-ব্লগ এর মতো প্রযুক্তিতেও সায় নেই। বাংলাদেশের প্রথম সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ‘বেশতো’ তাই ততটা আকর্ষণ করেনি নেটিজেনদের। তারা এখন বিভিন্ন অ্যাপে মাতোয়ারা। এমন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখেই দিন দুয়েক আগে উন্মোচিত হলো বাংলাদেশের ‘কথা’। অনলাইনে চ্যাটিং, কেনাকাটা, ডিজিটাল লেনদেন, মোবাইল রিচার্জ, বিনোদনসহ বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও লাইফস্টাইল বিষয়ক অ্যাপে।
তবে সদ্য অবমুক্ত হওয়া এই অ্যাপটি ছাপিয়ে আজ ভালোবাসার উত্তাপ ছড়াচ্ছে স্বদেশী আরেকটি অ্যাপ ‘কফি আড্ডা’। মাস জুড়ে ডানদিকের সোয়াইপে বন্ধুর পাশাপাশি মজার মজার নানা গিফটের ব্যবস্থাও করেছে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমসিসি লিমিটেড। বেটা ভার্সন লঞ্চ করার পরপরই এই অ্যাপ নিয়ে তরুণদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। কফি আড্ডার ৭০ শতাংশ ব্যবহারকারী অনূর্ধ্ব ২৫ বছর বয়স্ক তরুণ-তরুণী। ২৫ থেকে ৩৫ এর মধ্যে রয়েছে বাকি ২০ শতাংশ ব্যবহারকারী।
অ্যাপের জটিল অ্যালগরিদম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী সম্ভাব্য বন্ধুদের প্রোফাইল দেখাতে থাকে। প্রোফাইলের উপর ডানদিকে সোয়াইপ করার অর্থ-সেই প্রোফাইলের অধিকারীকে বার্তা পাঠানো যে, আপনাকে আমার বন্ধু হিসেবে পেতে আগ্রহী। উক্ত প্রোফাইলের মালিক যদি এই আহ্বানকে গ্রহণ করেন, তবেই তারা পরস্পর চ্যাট বা আলাপ শুরু করতে পারবেন। কফি আড্ডার ভাষায় এটাকে বলে ম্যাচ করা। ভালোবাসার ডিজিটাল ভাষা।
তথ্যসূত্র: digi bangla