আকাশ থেকে তোলা ছবি নিয়ে প্রতিবছর ইতালিতে হয় ড্রোন ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। সিয়েনা আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় এবার বিজয়ী হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আলোকচিত্রী পিকটস এর ছবি। সেরা পুরস্কার না পেলেও প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার জিতে নিয়েছে বাংলাদেশের ছয়জন আলোকচিত্রীর ১১টি ছবি।
এর মধ্যে ‘বিমূর্ত’ ক্যাটাগরিতে রানার আপ হয়েছে আলোকচিত্রী আজিম খান রনির ‘লার্জেস্ট কনগ্রেগেশন’ শিরোনামের এই ছবিটি। ছবিতে ঈদ উল ফিতরে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় জামাতে ৬ লক্ষেরও বেশি নামাজির সমাবেশকে ক্যামেরা বন্দি করেছেন তিনি। পেশায় টেলিভিশনের ভিডিও চিত্রগ্রাহক রনি এবারের আসরে জিতেছেন মোট পাঁচটি পুরস্কার।
পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে দিনাজপুরের গোর এ শহীদ মাঠে দেশের অন্যতম বড় ঈদ জামাতের ‘ঈদ প্রেয়ার’ ছবিটিও। আরবান বিভাগে চিত্ত জয় করেছে রাতের ঢাকার আলো ঝলমলে ছবি ‘সার্কেল অব সিটি’। একই বিভাগে প্রশংসিত হয়েছে তার তোলা চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটের মাছের বাজারের ছবি ‘ফিশ মার্কেট’। এছাড়াও পিপল বিভাগে সুনাম কুড়িয়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে তোলা তার ‘পিকিং রেড চিলিস’ শিরোনামের ছবিটি।
বাকি ছয়টি প্রসংশিত পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বেঁধে রাখা নৌকার ছবি। এই ছবি নিয়ে আরবান বিভাগে প্রশংসিত হয়েছেন বগুড়ার পুলিশ কর্মকর্তা আলোকচিত্রী আলী আশরাফ ভূইয়া।
পুরস্কারের তালিকায় ‘বগুড়া’ নামটি বেশ কয়েকবার এসেছে। নৌকার পাশাপাশি যমুনা নদীতে জেলেদের মাছ ধরার ‘ফিশিং অ্যাট যমুনা’ শিরোনামের ছবি তুলে পিপল বিভাগে প্রশংসিত হয়েছেন বগুড়ার আলোকচিত্রী আব্দুল মোমিন।
একই বিভাগে প্রশংসা কুড়িয়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে নারীদের শুকনা ঝাল বাইছাইয়ের ব্যস্ততা নিয়ে আলোকচিত্রী তানভীর হাসান রোহানের তোলা ‘উইমেন সর্টিং রেড ড্রাই চিলিস’।
চোখে নদী মাতৃক বাংলাদেশের প্রশংসিত এই ছবির তালিকায় রয়েছে আলোকচিত্রী আয়মান নকীব বাঁধনের তোলা ‘রাইস ফিল্ড ইন দ্য মিডল অব আ রিভার’। নদীর মাঝের এই ধান ক্ষেতের ছবিটি প্রশংসিত হয়েছে দর্শকের বিচারে।
পিপলস চয়েজের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ওয়াইল্ডলাইফ বিভাগে একমাত্র পুরস্কার জয় করেছে কুমিরের খামারের ছবি। ‘রিং অব ক্রোকোডাইলস’ শিরোনামে এই ছবির আলোকচিত্রী অভিনেতা ও বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ।