মার্কিন নির্বাচনের আগেই চালু হবে ফেসবুকের ‘সুপ্রিম কোর্ট’। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরু করবে সামাজিক জায়ান্টটির ‘ওভার সাইট’ বোর্ড।
তখন থেকে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারিত পোস্টের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
আর ফেসবুকের সর্বোচ্চ এই আদালত প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গসহ ফেসবুকের মডারেটর বোর্ড এবং নির্বাহীদের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে পারবেন।
সময় বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়েও কিছু রায় দিতে পারে ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট।
তবে কিন্তু বোর্ডের একজন সদস্য বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা প্রথমে ধীরে ধীরে কাজ করবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।
বোর্ডের সদস্য ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলে থর্নিং-স্মিডট বলেছেন, “নীতিগতভাবে আমরা নির্বাচনের সাথে সংযুক্ত বিষয়গুলো দেখতে সক্ষম। কিন্তু যদি ফেসবুক কিছু নামিয়ে নেয় অথবা নির্বাচনের পরের দিন কিছু রেখে যায়, তাহলে পরের দিন কোন রায় হবে না। এজন্যই আমরা এর সাথে নেই। আমরা এখানে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সঠিকভাবে বিবেচনা করতে এসেছি ।”
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সাথে তুলনীয় ২০ সদস্যের এই কোর্টের ‘দ্রুত মামলা’ পরীক্ষা করার ক্ষমতা আছে উল্লেখ করে থর্নিং আরো বলেন, “কিন্তু প্রাথমিক দিনগুলোতে তা না করতেই আমরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি”।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ফেসবুকের বৈশ্বিক বিষয়ক প্রধান নিক ক্লেগ ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, যদি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের ফলাফলের পর ‘অত্যন্ত বিশৃঙ্খল এবং আরো খারাপ, সহিংস পরিস্থিতি’ থাকে, তাহলে এটি ‘উল্লেখযোগ্যভাবে আমাদের প্ল্যাটফর্মে বিষয়বস্তু প্রচার নিষিদ্ধ’ করার বিষয়ে কঠোর ভাবে কাজ করবে।