বাজারে এখন এসারের নতুন ল্যাপটপ এক্সটেনসা-১৫। বর্তমানে ল্যাপটপটি গ্রাহকদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে নানাবিধ কারণে। সহজে বহনযোগ্য, দশম জেনারেশনের প্রসেসর, ভালো ব্যাটারি, দুই ধরনের ওয়ারেন্টি সুবিধা, ভালো রিভিউ, অফিস-বাসা দুই জায়গাতেই সমান পারফরমেন্স,গেম খেলায়ও জুড়ি নেই অন্যদিকে দামে সাশ্রয়ী। তাহলে এক্সটেনসা১৫ নয় কেন? এক্সটেনসা-১৫ ল্যাপটপ সিরিজে স্ক্রিনের আকার ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি। এতে দশম জেনারেশনের কোরআই-৫ ও কোরআই-৩ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বাসা ও অফিসের কাজের জন্য বেশ উপযোগী এই ল্যাপটপ।
নতুন এই ল্যাপটপটিতে ব্যবহারকারীরা দুই বছরের ওয়ারেন্টি পাবেন। এছাড়া ব্যাটারি ও চার্জারের জন্য থাকছে এক বছরের ওয়ারেন্টি। সঙ্গে বিশেষ সুবিধা হিসেবে এক বছরের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলার্স ওয়ারেন্টি (আইটিডব্লিউ) পাওয়া যাবে।
এসার এক্সটেনসা-১৫ ল্যাপটপের কি-বোর্ডও চমৎকার। প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের পছন্দের শীর্ষে থাকতে পারে এই কি-বোর্ড। এছাড়া এতে ব্যবহৃত টাচপ্যাডটির প্রশংসা করেছে অনেক রিভিউ সাইট। তারা বলছে, এক্সটেনসা-১৫ এর ট্যাচপ্যাডটি খুবই মসৃণ। এসার এক্সটেনসা-১৫ দেখতে সুন্দর, এতে কোনও দাগ নেই। ল্যাপটপটির উৎপাদনগত কোনও ত্রুটি নেই। ওজনের দিক থেকে এক্সটেনসা-১৫ বাজারে এর প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য ল্যাপটপগুলোর মতোই। বাকি দিকগুলোতে কিছু পার্থক্য থাকলেও তা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়।
এই ল্যাপটপের যে কনফিগারেশন তাতে অফিস প্যাকেজ এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে। এ সম্পর্কে রিভিউ সাইট নোটবুটচেক ডট নেট বলছে, অফিস এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের জন্য যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে তা প্রয়োজনের চেয়ে যথেষ্ট। এটিতে র্যাম হিসেবে ৮ গিগা ডিডিআর৪ এসডি-র্যাম ব্যবহার করা হয়েছে।
এক্সটেনসা-১৫
অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ-১০ হোম
প্রসেসর : দশম জেনারেশন ইন্টেল কোরআই-৩ এবং কোরআই-৫
ডিসপ্লে : ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি
র্যাম : ডিডিআর-৮ এসডি র্যাম
হার্ডডিস্ক : ১ টেরাবাইট
গ্রাফিকস কার্ড: ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিক্স-৬২০
ব্যাটারি: ৩৬ দশমিক ৭ ডাব্লিউএইচ, প্রায় ৭ ঘণ্টা চলে
ওজন : ১ দশমিক ৯ কেজি
দাম: ৪৩ হাজার ৫০০ থেকে ৬০ হাজার টাকা
এসারের এই ল্যাপটপে গ্রাফিকস কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস৬২০। ফলে এতে অনেক গেম কোনও ধরনের সমস্যা ছাড়াই খেলা যায়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য গেম হলো- টম্ব রেইডার, ডোটা-২ রিবর্ন, বায়োশক ইনফিনিট ও টিম ফোর্টরেস। এসব গেম খেলার ক্ষেত্রে তেমন কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ল্যাপটপটির আরেকটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে- অনেক বেশি কাজ করা হলেও এর ‘নয়েজ’ নেই বললেই চলে। কম ও মাঝারিমানের (সময়ভিত্তিক) কাজ করলে একদম নিঃশব্দ অবস্থাতেই এটিকে ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। তবে দীর্ঘ সময় ধরে অনেক বেশি লোডের কাজ করলে কখনও কখনও সামান্য শব্দ আসতে পারে।
অনেক ল্যাপটপ বেশিক্ষণ ব্যবহার করলে বা একটু ভারী কাজ করলে অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। কিন্তু এসার এক্সটেনসা-১৫ এই সমস্যা দেখাবে না। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠে, যা কোনও সমস্যার সৃষ্টি করে না।
ল্যাপটপটির সামনে নিচের দিকে স্পিকার সুংযুক্ত করা। স্পিকারের মানও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ের। তবে ভালো সাউন্ড পেতে হলে হেডফোন বা এক্সটার্নাল স্পিকার ব্যবহার করা যেতে পারে। ডিভাইসটির ব্যাটারিও বেশ উন্নতমানের। এটি প্রায় ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম।
এক্সটেনসা-১৫ ল্যাপটপে সর্বাধুনিক ওয়াইফাই প্রযুক্তি (ওয়াইফাই-৫) ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে ব্লু-টুথ সুবিধাও। এর ওজন ১ দশমিক ৯ কেজি। এতে রয়েছে ১ টেরাবাইট স্টোরেজ। তবে ২ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রয়োজনে বাড়তি যুক্ত করা যাবে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত এনভিএমই-এসএসডি ড্রাইভ স্টোরেজ সিস্টেম।