করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (জিএসটি) রেট বৃদ্ধির কারণে আগে থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতীয় স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রি আরও একটি ধাক্কা খেতে চলেছে। একটি নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী কিছু দিন পর থেকে গ্ৰাহকদের নতুন ফোন কেনার জন্য আগের চেয়ে বেশি দাম দিতে হতে পারে। আপনিও কি কোনো নতুন ফোন কেনার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে শীঘ্রই কিনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। রিপোর্টের কথা সত্যি হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নিশ্চিতভাবে অ্যাপেল, ভিভো, ওপ্পো, শাওমি, রিয়েলমি সহ অন্যান্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফোনের দাম বৃদ্ধি পেতে চলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো কোম্পানি অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি।
দাম বাড়ানোর কারণ
আসলে সরকারের পক্ষ থেকে স্মার্টফোনে ব্যবহৃত ডিসপ্লে ও টাচ প্যানেল ইম্পোর্টের ক্ষেত্রে 10 শতাংশ ইম্পোর্ট ডিউটি নেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্তের পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই ফোনের দাম বাড়বে। এই নিয়ম গত এপ্রিল মাসে শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পরিস্থিতির কথা ভেবে সরকার দেশে ডিসপ্লে তৈরি করার জন্য অতিরিক্ত সময় দিয়েছিল।
দাম বাড়তে পারে 5 শতাংশ
কোম্পানিগুলি ফোনের দাম 1.55% থেকে 5% পর্যন্ত বাড়াতে পারে এবং এই কারণে উৎসবের মরশুমে ফোনের চাহিদা প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোর্স থেকে জানা গেছে সরকার মনে করছে ডিউটি চার্জ চালু করার এটিই “সঠিক সময়” এবং এর ফলে ক্রমশ কোম্পানিগুলি দেশেই সবকিছু তৈরি করবে।
ভারতে চারটি কোম্পানি ডিসপ্লে তৈরি করে
ভারতে বর্তমানে TCL ও Holitech সহ মোট চারটি কোম্পানি ডিসপ্লে তৈরি করে। একটি ছোট উদাহরণ দিয়ে বোঝনো যাক কিভাবে ডিসপ্লের দামে ট্যাক্স চালু হলে ফোনের দাম বাড়বে। আসলে প্যানেলের কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে স্মার্টফোনের দামের প্রায় 15-25% শতাংশ দাম হয় ডিসপ্লের। ডিসপ্লের দাম 10% বৃদ্ধি করা মানে ফোনের দামও অনেক বাড়বে। দাম বাড়লে এখন যে ফোন 25,000 টাকা দামে বেচা হয় সেই ফোন কমপক্ষে 27,000 টাকা দামে সেল করা হবে।