গত কয়েক বছরে ল্যাপটপের নকশা ও প্রযুক্তিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ বেছে নেয়া অনেকটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ল্যাপটপ কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হতে পারে। সাধ্যের মধ্যে সাশ্রয়ী বাজেটে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ কিনতে যে ১০টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, সেগুলো নিয়ে আয়োজনের আজ প্রথম পর্ব—
কেনার উদ্দেশ্য
নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে প্রথমে ঠিক করে নিতে হবে আপনার উদ্দেশ্য কী। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিনতে যাওয়া ল্যাপটপ দিয়ে আপনি কোন ধরনের কাজ করবেন। আপনার উদ্দেশ্য যদি গেমিং কিংবা গ্রাফিকস সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে অবশ্যই হাই-এন্ড হার্ডওয়্যার, বেশি স্টোরেজ ও মেমোরি সংবলিত ল্যাপটপ কিনতে হবে। কিন্তু যদি অনলাইন শিক্ষা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং উদ্দেশ্য হয়, তাহলে যে কোনো কম দামি ল্যাপটপ কিনতে পারেন।
বাজেট
কী কাজে ব্যবহার করবেন তা ঠিক করে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে বাজেট নির্ধারণ করে নেয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের কনফিগারেশন খুঁজতে হবে। সেক্ষেত্রে বাজেটের ওপর নির্ভর করবে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী কোন কনফিগারেশনের ল্যাপটপ কিনবেন। এখন এন্ট্রি-লেভেলের অনেক ল্যাপটপ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে তুলনামূলক ভারী কাজের জন্য ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় মিড রেঞ্জের ল্যাপটপ কেনা শ্রেয়।
ওজন ও সাইজ
ল্যাপটপ কেনার আগে ডিভাইসের ওজন ও সাইজ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিন। পোর্টেবল কম্পিউটিং ডিভাইস হিসেবে ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে ওজন খুব বেশি কিংবা সাইজ তুলনামূলক বড় হলে বহন করতে সমস্যায় পড়তে হয়। আপনাকে যদি নিয়মিত ল্যাপটপ বহন করতে হয়, সেক্ষেত্রে হালকা ওজনের তুলনামূলক ছোট সাইজের ১৩ বা ১৪ ইঞ্চি মডেলের ডিভাইস কেনা শ্রেয় হবে। ১৫ কিংবা তার চেয়ে বড় ডিসপ্লের ল্যাপটপের ওজন তুলনামূলক বেশি হয় এবং বহন করা কঠিন হয়।
কানেক্টিভিটি পোর্ট
এখন সিংহভাগ ল্যাপটপ নির্দিষ্টসংখ্যক পোর্টসহ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। কাজেই কেনার আগে দেখে নিতে হবে আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী কয়টি পোর্ট থাকলে সুবিধা হয়। সাধারণত এখন ল্যাপটপে দুটি ইউএসবি টাইপ-এ পোর্ট, কমপক্ষে একটি টাইপ-সি পোর্ট, একটি ল্যান পোর্ট, হেডফোন জ্যাক, এইচডিএমআই ও মাইক্রো এসডি কার্ড রিডার থাকে। বেশি কানেক্টিভিটি সুবিধা এবং বহুমুখী ব্যবহারের জন্য পোর্ট বেশি থাকা বাড়তি সুবিধা দেবে।
প্রসেসর
ল্যাপটপ কেনার আগে কাজের ধরন অনুযায়ী প্রসেসর বাছাই করতে হবে। ডিভাইস নির্মাতারাও গ্রাহককে পছন্দের সুযোগ দিতে একই ল্যাপটপ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসেসরসহ বাজারজাত করছে। এখন ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই দশম প্রজন্মের কোর-আইথ্রি সিরিজের প্রসেসর সংবলিত ল্যাপটপ পছন্দ করা ভালো হবে। এছাড়া সাশ্রয়ী ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে ইন্টেল পেন্টিয়াম গোল্ড, সেলেরন কিংবা এটম প্রসেসর সংবলিত ল্যাপটপ কেনা যেতে পারে।