ভারতের মোবাইল মার্কেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল মার্কেটগুলির মধ্যে একটি। অনেক টেক কোম্পানি প্রতি মাসে ভারতে তাদের টেকনোলজি শো করে নতুন নতুন স্মার্টফোন লঞ্চ করে। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে লো বাজেট থেকে শুরু করে হাইএন্ড ফ্ল্যাগশিপ পর্যন্ত সমস্ত সেগমেন্টের স্মার্টফোনই দেশের মার্কেটে পাওয়া যায়। কিন্তু স্মার্টফোন কেনার প্রসঙ্গ উঠলে প্রায়ই দেখা যায় এক বাজেটে একাধিক কোম্পানির প্রায় একই স্পেসিফিকেশনযুক্ত স্মার্টফোন অপশন রয়েছে। তখন মনে একটাই প্রশ্ন জাগে যে ডিজাইন, ডিসপ্লে, র্যাম, স্টোরেজ, ক্যামেরা, প্রসেসর ও ব্যাটারী সবকিছু এক হলেও একটি ফোন অন্য একটি ফোনের থেকে আলাদা কি করে হতে পারে? এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর হলো, সবকিছু এক হওয়ার পরেও যে ফিচার একে অপরের চেয়ে আলাদা করে তোলে তা হল OS অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম। কয়েক দিন আগে টেক কোম্পানি ওপ্পো ভারতে তাদের নতুন এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও অ্যাডভান্স ফিচারযুক্ত অপারেটিং সিস্টেম ColorOS 11 লঞ্চ করেছে। এই নতুন ভার্সন বোঝার জন্য আমরা ColorOS 11 যুক্ত OPPO Find X2 ব্যবহার করেছি এবং বোঝার চেষ্টা করেছি যে OPPO ColorOS 11 এ নতুন কি আছে এবং এটি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের থেকে কতটা আলাদা।
অ্যান্ড্রয়েড 11 এর যুগলবন্দী
সবার আগে বলে রাখতে হয় ওপ্পোর লঞ্চ করা ColorOS 11 অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম 11 এর সঙ্গে কাজ করে। অ্যাডভান্স ফিচারের সঙ্গে সঙ্গে এটি ফোনের পারফরম্যান্স ফাস্ট এবং স্মুথ বানাতে সাহায্য করে। কোম্পানির বক্তব্য অনুযায়ী ColorOS 11 এর সাহায্যে ফোনের র্যাম 45 শতাংশ বেশি ব্যবহার করা যায়। একইভাবে কোম্পানির কথায় এই অপারেটিং সিস্টেম রেসপন্স রেট 32 শতাংশ এবং ফ্রেম রেট স্টেবিলিটি 17 শতাংশ পর্যন্ত ফাস্ট করা যায়। ফোনে ব্যবহার করে আমরা দেখেছি কোম্পানির কথা কাজেও যথেষ্ট খাঁটি। ফোন ব্যবহার, অ্যাপ লঞ্চ, ট্রান্জিশন এবং টাচ রেসপন্স সত্যিই ফাস্ট এবং স্মুথ কাজ করে।