করোনা ভাইরাসের কারণে মানবজাতি এক নিদারুণ সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। মন্দার দরুন অর্থনীতির চাকা গিয়েছে থমকে, অগণিত ব্যবসা হয়েছে বন্ধ, ঝাঁপ গুটিয়েছে বহু কোম্পানি, কাজ হারিয়ে হাহাকার সাধারণ শ্রমিক থেকে মোটা মাইনের চাকুরিজীবি। সারাবিশ্বে বর্তমান প্রেক্ষাপটের বর্ণনা ঠিক এমনই৷ পাশাপাশি এতদিন ধরে অচেনা থাকা একটি নতুন শব্দের সাথেও মানুষ পরিচিত হয়েছে। ‘সোশ্যাল ডিসটেন্সিং’ বা ‘সামাজিক দূরত্ববিধি’। ৬ ফুট সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলাকে এখন বলা হচ্ছে এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ রোধের অন্যতম প্রধান অস্ত্র।
বাজাজের সাম্প্রতিক একটি টেলিভিশন কমার্শিয়ালে সংস্থার ফ্ল্যাগশীপ Pulsar RS200, NS200 মোটরবাইকে চেপে ঠিক এই ৬ ফুট দূরত্ববিধি মেনেই এবার অ্যাক্রোব্যাটিক স্ট্যান্ট করতে দেখা গেল চালকদের।
“Bajaj Chalk Lines” নামের এই নতুন মার্কেটিং ভিডিওতে মূলত সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে রাইডিংয়ের রোমাঞ্চ উপভোগ করার দৃশ্য দেখানোর পাশাপাশি Pulsar NS200 বাইকটির নতুন একটি কালার স্কিমও সামনে আনা হয়েছে।
বাইকটিকে নতুন লাল, সাদা ও কালো এই ত্রিবর্ণ রঙের সমাহারে দেখা গিয়েছে৷ এর বডি প্যানেল লাল রঙ, ইঞ্জিন কালো এবং অ্যালয় হুইল ও ফ্রেম সাদা রঙে পেইন্ট করা হয়েছে। বলাবাহুল্য, এই ত্রিবর্ণ রঙের উপস্থিতি বাইকটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
নতুন রঙের বিকল্পে আগত এই Pulsar NS200 বাইকটির উপলভ্যতা সর্ম্পকে যতদূর জানা যাচ্ছে, এটি আসন্ন পুজোর মরশুমের মুখে ভারতে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এটি বাইকটির বাকি ভ্যারিয়েন্টগুলির মতোই ১,২৯,৭২২ টাকা (এক্স-শোরুম, দিল্লী) মূল্যে লঞ্চ করার সম্ভাবনা আছে।
বলাবাহুল্য, নতুন রঙ ছাড়া এর স্পেসিফিকেশনে কোনো পরিবর্তন থাকবে না। Bajaj Pulsar NS200 বাইকটির পারফরম্যান্সের কথায় আসলে এর ১৯৯.৫ সিসির ইঞ্জিন ২৪.২ বিএইচপি শক্তি এবং ১৮.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম।
সাসপেনশনের জন্য বাইকটিতে দেওয়া হয়েছে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ার নাইট্রোক্স মনোশক অ্যাবজর্বার। ব্রেকিং এর জন্য বাইকটির সামনে আছে ৩০০ মিমির ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনে ২৩০ মিমির ডিস্ক ব্রেক। বাইকটিতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সেট-আপ রাখা হয়েছে।