কার্ডে কেনাকাটা এখন অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে সঙ্গে করে নগদ টাকা-পয়সা টেনে নেয়ার ঝামেলা থাকে না। ফলে কেউ টাকা-পয়সা চুরি বা ছিনতাই করে নেবে-এমন কোনো সুযোগই নেই। তবে কেনাকাটার বিল পরিশোধ করতে এখন আর কার্ডও সঙ্গে নেয়া লাগবে না। হাতে হাতঘড়ি থাকলেই হবে। তা দিয়ে পরিশোধ করা যাবে বিল। এমনই সুবিধা-সম্বলিত হাতঘড়ি বাজারে এনেছে টাইটান।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, ঘড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি টাইটান এমন একটি হাতঘড়ি বাজারে নিয়ে এসেছে যার মাধ্যমে কেনাকাটার পরে পেমেন্ট করা যাবে। এক্ষেত্রে কার্ডের প্রয়োজন হবে না। এজন্য স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে।
এক বিবৃতিতে টাইটান জানিয়েছে, ‘টাইটান পে’ ঘড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক ট্যাপি টেকনোলজির একটি সার্টিফায়েড ও সুরক্ষিত নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) চিপ। এই চিপ লাগানো রয়েছে ঘড়ির স্ট্র্যাপের মধ্যে। যা দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড কন্টাক্টলেস ডেবিট কার্ডের সমস্ত কাজ এই ঘড়ির মাধ্যমেই করা সম্ভব।
টাইটান বলছে, তাদের এই ঘড়িগুলো ইওনো এসবিআই দ্বারা পরিচালিত। ফলে যাদের এসবিআই অ্যাকাউন্ট আছে তারা তাদের ‘টাইটান পে ওয়াচ’ কন্টাক্টলেস পেমেন্ট পিওএস মেশিনে সামনে স্পর্শ করালেই পেমেন্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে তাদের আর এসবিআই ব্যাংক কার্ড সোয়াইপ করতে হবে না। দুই হাজার টাকা পর্যন্ত পেমেন্টের ক্ষেত্রে পিন লাগবে না।
২০ লাখের বেশি কন্টাক্টলেস মাস্টার কার্ড এনাবল্ড পিওএস মেশিনে এই ঘড়ির মাধ্যমে পেমেন্ট করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে টাইটান।
টাইটানের এই বিশেষ ধরনের ঘড়ি পুরুষদের জন্য তিনটি এবং নারীদের জন্য দুইটি মডেল রয়েছে। আর আকর্ষণীয় এই ঘড়িগুলোর দাম পড়বে সর্বনিম্ন দুই হাজার ৯৯৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৯৯৫ টাকা।
টাইটান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি কে ভেঙ্কটরামন বলেন, ‘টাইটান সবসময় ডিজাইন ও উদ্ভাবনী দক্ষতার ওপরে গুরুত্ব দেয়। আমরা আমাদের গ্রাহকদের পছন্দের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।’
তিনি বলেন, টাইটান পে কেবল গ্রাহকের ব্যাংকিংয়ের চাহিদাই পূরণ করবে না, পাশাপাশি এটি গ্রাহকদের কাছে ক্লাসিক এবং উন্নত ডিজাইনের ঘড়ির চাহিদাও পূরণ করবে।