আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে সাইবার সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবর-২০২০। বিশ্বব্যাপী পরিচালিত এই ক্যাম্পেইনের এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য – ‘নেটওয়ার্কযুক্ত ডিভাইসের সুরক্ষা, ব্যবহারকারীর প্রতিরক্ষা’ ( ‘IF YOU CONNECT IT, PROTECT IT’) । ইন্টারনেটে বা অফলাইনে অন্যান্য গ্যাজেটের সঙ্গে সংযুক্ত ডিভাইসগুলোকে নিরাপদ এবং বহিরাগত কোনো প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এই প্রতিপাদ্য প্রণয়ন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিরিটি ও ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্সের যৌথ নেতৃত্বে পরিচালিত বৈশ্বিক এই ক্যাম্পেইনের অফিসিয়াল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশে এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে বাস্তবায়ন করে আসছে সংগঠনটি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সমিতি, অলাভজনক সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা তৈরিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা হিসেবে বিশ্বব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়।
অন্যান্য সময়ের চেয়েও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কার্যকরী যোগাযোগ নিশ্চিতকরণে ও ভালো থাকা নিশ্চিত করতে অনলাইন ও অফলাইনে সংযুক্ত ভিভাইসগুলোর সমন্বিত ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, সাইবার অপরাধী বা হ্যাকাররা আমাদের ব্যবহৃত ডিভাইসের তথ্যের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তি বা ব্যবসায় সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট ও অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নেতিবাচক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। ‘সাইবার সচেতনতা মাস (ক্যাম) অক্টোবর-২০২০’ এ জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি ব্যবহৃত সাধারণ ডিভাইসগুলোর ন্যূনতম নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের উপায় সম্পর্কে মানুষকে নির্দেশনা দেয়ার উদ্দেশ্যে গুরুত্বারোপ করে উদযাপন করা হবে।
এই বছর সাইবার সচেতনতা মাসের কর্মসূচি চার ভাগে বাস্তবায়ন হবে। মাসব্যাপী কর্মসূচিতে নিম্নে উল্লেখিত বিষয়ে আলোকপাত করা হবে-
:: সংযুক্ত ডিভাইস ও হোম নেটওয়ার্কের সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো বোঝা ও মেনে চলা
:: রিমোট ওয়ার্কারদের ক্ষেত্রে সংযুক্ত ডিভাইসের নিরাপত্তার গুরুত্ব
:: ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যখাতে সংযুক্ত ডিভাইসের গুরুত্ব
:: ইউজার, প্রফেশনাল এবং পাবলিক ডোমেইনের ক্ষেত্রে সংযুক্ত ডিভাইসের ভবিষ্যত রুপকল্প
সিসিএ ফাউন্ডেশন মনে করে, শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থার চর্চা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকিপ্রবণ ব্যবহারকারীদের ও সংস্থার কর্মীদের এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন- এই তিনটি ক্ষেত্রে যে যার দায়িত্ব পালন করলেই একটি নিরাপদ আন্তঃসংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব হবে, ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।