- Advertisement -
- Advertisement -
আমরাও পারি প্রমাণ করেছে ‘ওয়ালটন ’

আমরাও পারি প্রমাণ করেছে ‘ওয়ালটন ’

- Advertisement -

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেছেন, ওয়ালটন অনেক বড় কোম্পানি। তাদের বিশাল কারখানা। কারখানার সব কিছু পরিপাটি, স্বাস্থ্যসম্মত। ওয়ালটন নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ওয়ালটন মানুষের কল্যাণ করছে। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ওয়ালটন প্রমাণ করছে যে আমরাও পারি। ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম, তা আমাদের খুব কাজে দেবে।

বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য জায়ান্ট ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

সোমবার (৫ অক্টোবর ২০২০) তার নেতৃত্বে বিটিআরসির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন।

অবৈধ হ্যান্ডসেট আমদানির কারণে স্থানীয় উৎপাদনকারী এবং সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক্ষেত্রে বিটিআরসি খুবই তৎপর জানিয়ে মোঃ জহুরুল হক সবাইকে বৈধ হ্যান্ডসেট কেনার আহŸান জানান। তিনি বলেন, মানুষ দেশে তৈরি বৈধ মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন বিটিআরসি ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রয় মৈত্র, কমিশনার আমিনুল হাসান, সচিব মো. জহিরুল ইসলাম, পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল, উপ-পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক সনজিব কুমার সিংহ, চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মো. শহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. মিন্টু প্রাং এবং উপ-সহকারী পরিচালক আমিনা পারভীন।

এর আগে সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছলে অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এসএম মঞ্জুরুল আলম অভি।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর, ইউসুফ আলী, এস এম রেজওয়ান আলম এবং কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত আলম, সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আদনান আফজাল, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর ফাহিম রশীদ, ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মিল্টন আহমেদ প্রমুখ।

কারখানা প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। পরে তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এরপর পর্যায়ক্রমে তারা মোল্ড অ্যান্ড ডাই, মেস্টাল কাস্টিং, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন উৎপাদন, টেস্টিং ল্যাব, এসেম্বলি লাইন, পিসিবি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড), এসএমটি (সারফেস মাউন্টিং টেকনোলজি), চার্জার, ব্যাটারি, ইয়ারফোন, মোবাইল ফোনের হাউজিং, কম্প্রেসর, রেফ্রিজারেটর উৎপাদন কারখানা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
কারখানা পরিদর্শন শেষে শুভেচ্ছাস্মারক হিসেবে বিটিআরসি চেয়ারম্যানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর দেশের প্রথম মোবাইল ফোন কারখানা চালু করে ওয়ালটন। ওই বছরের ডিসেম্বরে বাজারে আসে দেশে তৈরি প্রথম স্মার্টফোন। এর মাধ্যমে প্রযুক্তিপণ্যে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পায়। বর্তমানে স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন মোবাইল ফোন রপ্তানিও হচ্ছে।

- Advertisement -
আরো দেখুন
মন্তব্য
- Advertisement -

Register

OR

Do you already have an account? Login

Login

OR

Don't you have an account yet? Register

Newsletter

Submit to our newsletter to receive exclusive stories delivered to you inbox!

keyboard_arrow_up