- Advertisement -
- Advertisement -
জেনে নিন পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে

জেনে নিন পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে

- Advertisement -

স্মার্টফোন ছাড়া পৃথিবীতে চলাচল করা এখন প্রায় অসম্ভব। হটস্পট কিংবা ওয়াইফাই ইন্টারনেট প্রযুক্তির সাহায্যে এই স্মার্টফোন আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিচ্ছে নানা পরিষেবা বা সুযোগ সুবিধা।কিন্তু বাড়ি বা অফিসের বাইরে স্মার্টফোন চার্জ করাটা বেশ মুশকিল। এক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে থাকলে চিন্তা নাই। তবে যেকোনো পাওয়ার ব্যাংক হলে চলবে না। চার্জ করার জন্য চাই মানসম্মত কোনো পাওয়ার ব্যাংক, নইলে বিপদে পড়তে হতে পারে। পাওয়ার ব্যাংক আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল করতে হবে।

পাওয়ার ব্যাংক কিনুন প্রয়োজন অনুসারে

সারা দিনে একটি না একাধিক স্মার্টফোন চার্জ করবেন এবং কতবার চার্জ করবেন— সেই অনুসারে পাওয়ার ব্যাংক পছন্দ করুন। দরকার হলে বেশি পাওয়ার ক্যাপাসিটির ব্যাংক কেনা যেতেই পারে, কিন্তু সেটিকে ফুল চার্জ দিতে সময় লাগবে। তবে ক্যাপাসিটি বেশি হলে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে কাজে লাগে বেশি। পাওয়ার ব্যাংক একবার ফুল চার্জ দিয়ে নিলে একাধিক ফোনে একাধিক বার চার্জ দেওয়া যায়।

যে কোম্পানির কিংবা মডেলেরই পাওয়ার ব্যাংক কিনুন

একসঙ্গে অন্তত দুইটি বা তার বেশি স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে কি না দেখে নিন। পাশাপাশি এটাও দেখা জরুরি যে, পাওয়ার ব্যাংকটিতে ব্যাটারির ‘স্টেটাস ইন্ডিকেটর’ রয়েছে কি না। এই ধরনের ইন্ডিকেটর থাকলে, পকেটের পাওয়ার ব্যাংকে ব্যাটারির চার্জ কতটা রয়েছে, সেটা সহজে দেখে নিতে পারবেন এবং সেই অনুসারে ব্যবহার করতে পারবেন।

গুণগত মান ভালো এবং পকেটে ঢোকানো যায়

কিছু বিশেষ কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে, যেগুলো আকারে বেশ বড়। ব্যাংকের আকার বড় বলেই, আপনি বেশি পাওয়ার ব্যাকআপ পাবেন— এমনটা ভেবে নিলে ভুল করবেন। বরং পাওয়ার ব্যাকআপের বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে ব্যাংকের ভিতরে থাকা ব্যাটারির গুণগত মানের উপরে। তাই এমন পাওয়ার ব্যাংকই কিনুন, যেটি আপনি সহজে পকেটে ঢুকিয়ে নিতে পারবেন। প্রয়োজনে জনপ্রিয় কোনও সংস্থার পাওয়ার ব্যাংকের খোঁজ করতে পারেন। এই ধরনের পাওয়ার ব্যাংক আকারে ছোট হলেও, তাদের কার্যকারিতা কিন্তু অনেকটাই বেশি।

ফাস্ট চার্জিং সুবিধা রয়েছে

চেষ্টা করুন, ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধে রয়েছে এমন পাওয়ার ব্যাংক কেনার। তবে এ ক্ষেত্রে হয়তো টাকা একটু বেশি লাগতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে সেটি লাভজনক। পাওয়ার ব্যাংক চার্জ করার বিষয়টি যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তাই ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধাযুক্ত পাওয়ার ব্যাঙ্কটিকে যদি দ্রুত চার্জ করা যায়, ক্ষতি কী?

কমা দামে নয় বরং নামী ব্র্যান্ডের কিনুন

স্থানীয় কোনও কোম্পানির কিংবা কম দামের প্রলোভনে পাওয়ার ব্যাংক না কেনাই ভাল। চেষ্টা করুন, কোনও নামী ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক কেনার। পাওয়ার ব্যাংকের কার্যকারিতা পুরোটাই নির্ভর করে, ব্যাটারির গুণগত মান এবং ব্যাংকের সার্কিটের উপরে। স্থানীয় সংস্থার তৈরি কিংবা কম দামের পাওয়ার ব্যাংকের ওয়্যারিংয়ে অনেক সময় শর্ট-সার্কিটের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে পাওয়ার ব্যাংকটি পুরোপুরি বদলে ফেলা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই আর কোনও উপায় থাকবে না। অনলাইনে তো বটেই, ইলেকট্রনিক্সের দোকানে বিভিন্ন দামের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যায়। মোটামুটি ভাবে বলা যায়, ৬০০ টাকার কাছাকাছি দামের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক পেয়ে যাবেন।

পাওয়ার ব্যাংকে লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি

যে পাওয়ার ব্যাংকটি কিনছেন, সেটিতে লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি রয়েছে কি না দেখে নিন। সাধারণত পাওয়ার ব্যাংক পুরোপুরি চার্জ হতে অনেকটাই সময় লাগে। তাই অনেকেরই অভ্যেস রয়েছে, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্যাংকটিকে চার্জে বসিয়ে দেওয়ার। এতে সকালে উঠে ব্যাংকে ফুল চার্জ মেলে বটে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কাও থাকে। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন অনেক পাওয়ার ব্যাংকেই ‘অটো-কাট’-এর প্রযুক্তি থাকে না। ফলে ব্যাংকের ব্যাটারি পুরোপুরি ভাবে চার্জ হয়ে গেলেও, চার্জিং চালু থাকে। এতে ব্যাটারি গরম হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। এমন অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, বেশি গরম হয়ে ব্যাটারি ফেটেও গিয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে গঠনগত কারণেই লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি অনেকটাই ‘সেফ’। আবার এই ধরনের ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাকআপ দেওয়ার ক্ষমতাও বেশি। তাই লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি এবং অটো-কাট প্রযুক্তি দেখেই পাওয়ার ব্যাংক পছন্দ করুন। যে কোম্পানির এবং মডেলের পাওয়ার ব্যাংক কিনবেন, পুরোপুরি চার্জ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিন।

কোম্পানির দেয়া ক্যাবল ব্যবহার করুন

অনেকেরই অভ্যেস রয়েছে, স্মার্টফোন হোক কিংবা পাওয়ার ব্যাংকের ক্ষেত্রে হাতের কাছে যে ক্যাবল মেলে, সেটি সংযোগ করেই চার্জিংয়ে বসিয়ে দেওয়ার। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, কোন ধরনের কেবল দিয়ে আপনি চার্জ করছেন, সেটার উপরেও আপনার ইলেকট্রনিক গ্যাজেটটি চার্জ হতে কত সময় নেবে, তা নির্ভর করে। তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময়, যে চার্জিং কেবলটি কোম্পানি থেকে দেওয়া হয়েছে, সেই কেবলটি দিয়েই পাওয়ার ব্যাংক চার্জ করুন। এতে দ্রুত ফুল-চার্জ করতে পারবেন।

- Advertisement -
আরো দেখুন
মন্তব্য
- Advertisement -

Register

OR

Do you already have an account? Login

Login

OR

Don't you have an account yet? Register

Newsletter

Submit to our newsletter to receive exclusive stories delivered to you inbox!

keyboard_arrow_up