আপনে মনে মনে কি ভাবছেন, তা যদি অন্য কেউ জেনে ফেলে ভাবুন তো কেমন লাগবে! অবাস্তব মনে হলেও বাস্তবে আসছে এমনই এক যন্ত্র। যন্ত্রটি তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে গবেষকেরা।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের গবেষকেরা ভবিষ্যতে এমন যন্ত্র তৈরির কথা ভাবছেন। যা মস্তিষ্ক ব্যবহার করে কোনো শব্দ টাইপ করা এবং তা বার্তা আকারে পাঠাতে পারবে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) নতুন এক গবেষণার আশানুরূপ ফলাফল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ফেসবুকের কর্মকর্তারা।
এ গবেষণা সফল হলে ফেসবুকের পক্ষ থেকে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) গ্লাসসহ নানা পরিধানযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করা সম্ভব হবে। এতে স্মার্টফোন ব্যবহার না করেও পরস্পরের সঙ্গে বাস্তবে যোগাযোগ করা যাবে।
ফেসবুকের এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, পরস্পরের সঙ্গে সহজে যোগাযোগে ক্ষেত্রে এআরের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মানুষকে আর ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। এ ছাড়া ল্যাপটপের দিকেও ঝুঁকে থাকতে হবে না। মানুষের চোখে চোখ রেখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান–প্রদান করতে পারবে।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তাদের গবেষণা ল্যাব বিল্ডিং ৮–এর ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখানে কম্পিউটার ব্রেইন ইন্টারফেস নিয়ে কাজ চলছে। ওই সময়ে ফেসবুকের কম্পিউটার ব্রেইন ইন্টারফেস প্রকল্পপ্রধান রেজিনা ডুগান বলেছিলেন, ফেসবুক একধরনের ‘সাইলেন্ট স্পিস সিস্টেম’ তৈরি করতে যাচ্ছে, যা মস্তিষ্ক থেকে সরাসরি মিনিটে ১০০ শব্দ টাইপ করতে পারবে। এটি একজন ফোনে যত শব্দ টাইপ করতে পারেন, তার চেয়ে দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ ধরনের কাল্পনিক প্রকল্পগুলো নিয়ে সব সময় মুখ বন্ধ রাখা হয়। এরই মধ্যে ফেসবুক তাদের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে।
ফেসবুক তাদের গবেষণার ক্ষেত্রে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
এলন মাস্কের কোম্পানি নিউরালিংক সম্প্রতি মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটার যুক্ত করার একটি নতুন উদ্যোগের কথা জানিয়েছে।