নানা আলোচনা ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে ই-কমার্স বা অনলাইন ভিত্তিক বেচাকেনায় ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) একটি এসআরও দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
যেখানে উল্লেখ করা হয়, গ্রাহক পর্যায়ে অনলাইনে পণ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার পর প্রাপ্ত সেবা মূল্যের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এ ঘোষণার মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটায় দ্বৈত মূসক নিয়ে যে ধোঁয়াশা ছিল, তা দূর হলো। সেবা কোড এস০৯৯৬০ এর আওতায় ‘অনলঅইনে পণ্য বিক্রয়’ নামের ওই এসআরও জারি করে রাজস্ব বোর্ড।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (মূসক আইন ও বিধি) হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে অনলাইনে পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানকে একটি ‘বিক্রয় মাধ্যম’ হিসেবে গণ্য করে এসব প্রতিষ্ঠান পণ্যের মূল সরবরাহকারী ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কমিশন, ফি, সার্ভিস চার্জ, রেভিনিউ শেয়ারিং বা অন্যবিধভাবে সেবামূল্য গ্রহণ করলে এসব প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় মোট পণ্য মূল্যের ওপর মূসক পরিশোধ করতে হবে না।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল জানান, তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে রাজস্ব বোর্ড এমন একটি নির্দেশনা দিয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, অনলাইনে পণ্য বিক্রি মানে হলো ইলেক্ট্রনিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে সেসব পণ্য ও সেবার বেচাকেনাকে বোঝাবে, যা আগে কোনো উৎপাদনকারী বা সেবা প্রদানকারীর কাছ থেকে মূসক পরিশোধ করে নেওয়া হয়েছে এবং যাদের নির্দিষ্ট কোনো সেবা কেন্দ্র নেই।